এক ফাতেমার গল্প, “বাবা, আমি এখন দেখতে পাই! …”
ফাতেমা বেগম, সত্তর বছর বয়সের স্বামীহারা এক বৃদ্ধা । ভিক্ষাবৃত্তিই তাঁর বর্তমান পেশা । প্রায় ৩৩ বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছেন তিনি । পরিবারে স্বচ্ছলতা না থাকলেও স্বামী সন্তান (এক ছেলে আর এক মেয়ে ) নিয়ে ভালোই কাটছিল তাঁর দিনগুলো । দু,সন্তানের উভয়েই বিবাহিত ।
এক সময়ের শরীয়তপুর নিবাসী ফাতেমার বর্তমান থাকার মত কোথাও কোন ভিটে মাটি নেই । অনেকটা ভাসতে ভাসতেই এখন সাভারের নয়াচর গ্রামের মৃত মেহেরচান মিয়ার বাড়িতে আশ্রিত আছেন তিনি ।মেয়ের বয়স যখন মাত্র ৩ মাস, তখন মারা যায় ফাতেমার স্বামী । সংসারে নেমে আসে অমানিষার অন্ধকার । সংসারে চাকা সচল রাখতে অন্যের বাড়িতে “ঝি”-এর কাজ নেয় সে । যে টাকা পেত তা দিয়ে কোনরকমে কেটে যেত তাদের দিন। | |
প্রায় ২ বছর আগে চোখের দৃষ্টি হারিয়ে ফেলে ফাতেমা । ফলে, দিন মজুরি দিয়ে যৎসামান্য অর্থ উপার্জনের সর্বশেষ সুযোগটাও চিরতরে হারাতেও বসে সে । সংসারে এখন তার উপস্থিতি যেন শুধুই বোঝা! ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! দু,সন্তানের কেউই তাঁর অশ্রুরাশি । একদিকে অলস বসে থাকা অন্যদিকে ক্ষুধার জ্বালা! কি করবে ভেবে পায় না ফাতেমা । উপায়ন্তর না দেখে জঠর জ্বালা নিবারণে ভিক্ষার ঝুলি কাধে নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে সে ।
চক্ষু চিকিৎসালাভে গ্রাম্য ডাক্তারের শরনাপন্ন হয়েও কোন ফল পায় না ফাতেমা । দরিদ্রতার কষাঘাতে শহরে এসে বড় ডাক্তার দেখানো যেন কল্পনারও অতীত । চিকিৎসার সুফল যখন ক্রমাগতই দুর্লভ হচ্ছিল ঠিক তখন প্রাইম বাংক আই হসপিটালের চক্ষু শিবিরের আওতায় এনে চোখের ছানি অপারেশন করা হয় ফাতেমার । অপারেশনের পরের দিনে পোষ্ট অপারেটিভ চেক আপ করতে ফাতেমার চোখের ব্যাণ্ডেজ খুলে ফেলেন প্রাইম বাংক আই হসপিটালের কর্তব্যরত চিকিৎসক । ব্যাণ্ডেজ খুলতেই আবেগময় কন্ঠে ফাতেমা চিৎকার করে বলে উঠেন, “বাবা, আমি এখন দেখতে পাচ্ছি (আঞ্চলিক ভাষা পরিহার করা হলো)! সবাইকে (পাশের রোগীদের) দেখতে পাচ্ছি, বাবা!!, সবাইকে দেখতে পাচ্ছি!!! |
|
কৃতজ্ঞতা মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানায় ফাতেমা । স্থানীয় ইউপি মেম্বার তাকে প্রাইম বাংক আই হসপিটালের চক্ষু শিবিরের খবর স্বয়ং নিজ খরচে ২০ (বিশ) টাকা দিয়ে ফাতেমার নাম তালিকাভুক্তি করান । ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে চোখে ছানি ধরা পড়লে চক্ষু শিবিরের “ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর ” ফাতেমাকে অপারেশনের তারিখ জানিয়ে দেন । ডাক্তারের পরামর্শে খরচ কার্য সম্পন্ন করা হয় । এই মানুষটির প্রতিও বয়োবৃদ্ধা ফাতেমা অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন । | |
গ্রামে ফিরে কী করবেন? জানতে চাইলে ফাতেমা বলেন, ” ভিক্ষা করায় নিজেকে অপরাধীর মত লাগত । কিন্ত, আমার কোনো উপায় ছিলো না! এখন আমি দেখতে পাই! গ্রামে ফিরে একটি চায়ের দোকান দিব । আয় উপার্জন করে নিজের খরচ নিজে মেটাবো । দরকার হলে সন্তানদেরও সাধ্য মত সাহায্য করব । সে সন্তান বিপদের দিনে তাঁকে ভুলে ছিল, ফাতেমা কিন্ত তাদের মনে রেখেছেন মনের মাতৃকোটরে অতি যতনে, অতি আদরে! সন্তানের কথা মনে পড়তেই আবেগআপ্লুত হন তিনি । আবেগের বশে বলেন কতদিন ওদের দেখিনা ! কথায় আছে ওরা, তাও জানিনা । বাড়ি যেয়ে ওদের দেখতে চাই, দু,নয়ন ভরে ! অশ্রু এসে পরেও এ সময়, ফাতেমার দু,চোখ বেয়ে । | |
চোখে অপারেশন জরুরী বোঝেও খানিকটা দ্বিধাদন্ডে ছিলেন ফাতেমা । অজানা এক ভয় যেন ত্বারা করে ফিরত তাকে। অপারেশন শেষে ফাতেমার আত্নতুষ্টি ছিল দেখবার মত! ফাতেমা এখন আত্নবিশ্বাসী । |
Story of Fatema in english |
|
I am Fatema, 70 years old. Late Ab. Malek is the name of my husband. I have no permanent residence, living now in a house of Late-Meherchan, Village-Noyachar, Savar, Dhaka. My home district was Shariotpur. After marriage, I migrated to Dhaka about 50 years ago and was living with my husband at Mohammadpur area. | |
I have one son (38 yrs) and 1 daughter (33 yrs). All are married. I have lost my husband 33 years ago when my daughter was about 3 months only. After died of my husband, I had been working as day laborer at different houses. | |
I lost my sight 2 years ago and I was totally blind. I couldn’t see anything. At first, I took treatment from a village doctor but I could not see any improvement in my eyes. I couldn’t get touch of a MBBS doctor due to my poverty. I heard from one of my neighbor that my disease was treatable, but I didn’t take treatment due to high cost. | |
Due to blindness, I couldn’t do my job properly. Therefore, I had lost my job (day labor). Nobody helped me specially son and daughter for my daily living. Then I joined for begging occupation. Going blind was a big problem for me. I couldn’t see my surroundings and most of the time I sat idly in my home. I couldn’t earn any money with begging, and I felt guilty that I was a burden of my family. | |
I heard from local UP member that a big doctor will come to our village and they will give us partial free treatment. But I had no ability to pay for treatment even registration fee (20/-). Then the UP member assured me to do help. Then I went to Eye Camp held at Shamlapur High School and selected me as a cataract patient by the doctor.
Before having surgery I was a bit confused that I’ll really get my vision once again? I was a little scare before surgery, but since I couldn’t see I wasn’t too afraid! One of my neighbors had counseled me regarding surgery then I got confident to undergo surgery. I had no money for transport cost. Then on 27 January 2014 morning, I started for Prime Bank Eye Hospital by walking. The doctor sir reexamined my eyes and admitted in the hospital on same day. They operated my left eye first and advised for surgery right eye two month later. The first time when the bandages were removed the first thing I saw all patients in my room. At the time I was so happy and I was crying. Now I can see everything! Mentally, I am very much happy and have my strength. Now I will work again and look after my family. In future, I want to make tea with a small shop. I don’t know who has paid my surgery cost. I pray to Allah for him/them. Now for the name of Allah I am very happy, I can move and do anything. I think that eyes are good wealth and should all to take care of eyes. Those who are visually impaired people come to me or I found, I will advise them to go to Prime Bank Eye Hospital at Dhanmondi for better treatment. |